ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। এক সন্তানের মা। দাম্পত্য ও পারিবারিক জটিলতায় অস্থির ছিল তাঁর দিন-রাত। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি, সন্তান নিয়ে টানাহেঁচড়া। বাবা কিংবা বড় বোনের বাড়িতে থাকা-না থাকা নিয়েও ঝামেলার অন্ত নেই। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন—এই পৃথিবীতে আর নয়।
এমনই অবস্থায় একদিন ইন্টারনেট ঘাটতে গিয়ে চোখ আটকে যায় একটি নম্বরের দিকে- ৭৮৯৯’। এটি মাইন্ড টেল নামের একটি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী উদ্যোগ। কৌতূহলবশত ফোন করেন ওই নম্বরে। একবার-দুইবার, এক দিন-দুই দিন করে বারবার চলে আলাপচারিতা। দিন পেরিয়ে যায়। ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় শারমিনের মনের কালো মেঘ। মনের এক পরম বন্ধু হয়ে ওঠে নম্বরটি। ফিরে পান নতুন জীবন।